অখন্ড হোমিও ক্লিনিক

বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১৬

যে ৭ টি খাবার রক্তনালী ব্লক হওয়া প্রতিরোধ করবে…

কোন মন্তব্য নেই :

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে রক্তনালী ব্লক হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। এবং শুধুমাত্র এই কারণে হৃদপিণ্ডের নানা সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় অনেককে। এমনকি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হন অনেক রোগীই।

কিন্তু রক্তনালী ব্লক হওয়ার এই সমস্যা থেকে খুবই সহজে মুক্ত থাকা যায় চিরকাল। আপনাকে এর জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হবে না একেবারেই। খুবই সহজলভ্য কয়েকটি খাবার আপনার রক্তনালীর সুস্থতা নিশ্চিত করবে।

(১) আপেলঃ আপেলে রয়েছে পেকটিন নামক কার্যকরী উপাদান যা দেহের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় ও রক্তনালীতে প্লাক জমার প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। গবেষণায় দেখা যায় প্রতিদিন মাত্র ১ টি আপেল রক্তনালীর শক্ত হওয়া এবং ব্লক হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়।
(২) ব্রুকলিঃ ব্রকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে যা দেহের ক্যালসিয়ামকে হাড়ের উন্নতিতে কাজে লাগায় এবং ক্যালসিয়ামকে রক্তনালী নষ্ট করার হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। ব্রকলির ফাইবার উপাদান দেহের কোলেস্টেরল কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

(৩) দারুচিনিঃ দারুচিনির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্ডিওভ্যস্কুলার সিস্টেমের সার্বিক উন্নতিতে কাজ করে থাকে। এছাড়াও গবেষণায় দেখা যায় প্রতিদিন মাত্র ১ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো দেহের কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তনালীতে প্লাক জমে ব্লক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

(৪) তৈলাক্ত মাছঃ তৈলাক্ত মাছ বিশেষ করে সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছের ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে হৃদপিণ্ডকে চিরকাল সুস্থ ও নীরোগ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

(৫)তিসীবীজঃ তিসীবীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড যা উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তনালীর প্রদাহকে দূর করতে সহায়তা করে এবং সেই সাথে রক্তনালীর সুস্থতা নিশ্চিত করে।

(৬) গ্রিন টিঃ গ্রিন টি অর্থাৎ সবুজ চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যাচেটিন যা দেহে কোলেস্টেরল শোষণ কমায় এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। প্রতিদিনের চা কফির পরিবর্তে গ্রিন টি পান করলে দেহের সুস্থতা নিশ্চিত হয়।

(৭) কমলার রসঃ গবেষণায় দেখা যায় প্রতিদিন ২ কাপ পরিমাণে শুধুমাত্র বিশুদ্ধ কমলার রস পান করলে রক্ত চাপ স্বাভাবিক থাকে। এবং কমলার রসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীর সার্বিক উন্নতিতে কাজ করে ফলে রক্তনালী ড্যামেজ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।

যে খাবার গুলো নারী-পুরুষের যৌনাকাঙ্ক্ষা (সেক্স পাওয়ার) কমিয়ে দিচ্ছে !!

কোন মন্তব্য নেই :
আপনারা অবশ্যই জানেন নারী পুরুষের যৌনতার বিষয়টি সরাসরি স্বাস্থের উপর নির্ভর করে। বিশেষ করে পুরুষের স্থায়িত্বের বিষয়টি তার ইচ্ছা বা অনিচ্ছার উপর নির্ভর করে না। শারীরিক সক্ষমতার উপর নির্ভর করে থাকে। তাই দৈনন্দিন খাবার দাবার পুরুষ এবং মহিলা দু'জনেরই যৌনাকাঙ্ক্ষার উপর অত্যধিক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে কিছু কিছু খাদ্য উপাদান রয়েছে যেগুলো অকালেই আমাদের শরীরকে মলিন করে দেয়। এমন খাদ্যগুলো সম্পর্কে ধারনা থাকা প্রয়োজন।
মিষ্টি পানীয় :- মিষ্টি জাতীয় যেকোনো পানি পানে শুধুমাত্র ক্যাভেটি, স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ হয়, এমনটি নয়। মিষ্টি জাতীয় পানীয় অধিক পানে মানুষের স্বাভাবিক যৌন চাহিদাও হ্রাস পায়।
পনির :- সাধারনত বাজারে যেসব পনির বিক্রি হয় সেগুলো গরুর দুধ থেকে তৈরি। প্রক্রিয়াজাতকরন খাদ্য বেশি মাত্রায় গ্রহনে শরীরে টক্সিনের হার বেড়ে যায় এবং যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে এমন হরমন হ্রাস করে।
https://youtu.be/P7eWZmmzuO0
প্রক্রিয়াকরণ মিষ্টান্ন :- প্রক্রিয়াজাত করা মিষ্টান্ন শরীরের জন্যে কোনো ভাবেই সুখকর নয়। আপনি যদি স্থূলতা কমাতে চান তাহলে অবশ্যই খাদ্য তালিকা থেকে অতিরিক্ত মিষ্টি বাদ দিতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাভাবিক যৌন চাহিদাও হ্রাস করে প্রক্রিয়াজাতকরণ মিষ্টান্ন।
ভাজাভুজি এবং চিপস :- আলুর চিপস খেলে আপনি মুটিয়ে যাবেন, এর চেয়েও ভয়াবহ হলো চিপসগুলো ভাজতে ব্যবহৃত তেল। অতিরিক্ত তাপে তেলের গুণাগুন নষ্ট হয় এবং ক্ষতিকর চর্বির মাত্রা শরীরে বাড়ে। এর ফলে শরীরের যৌন উত্তেজক টিস্যু এবং সেল ধ্বংস করে।
খাদ্য ব্যবহৃত রং এবং ফ্লেভার :- অনেক খাবারে কৃত্রিম রং এবং আলাদা স্বাদের জন্যে ফ্লেভার ব্যবহার করা হয়। এগুলো শরীরের জন্যে যেমন ক্ষতিকর, ঠিক তেমনি যৌন উত্তেজক হরমোন ধ্বংসেও কাজ করে।
নিম্নমানের তেল :- নিম্নমানের তেল যেমন দ্রুত আপনাকে মুটিয়ে ফেলবে ঠিক তেমনি নারীদের জন্যে তো অতিরিক্ত তেলের ব্যবহার আরও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। এতে নারীদের রিপ্রোডাকটিভ সিস্টেম কমিয়ে সন্তান জন্মদানের সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়।
কফি :- সকালে এক কাপ কফি পানের অভ্যাস আপনাকে অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেবে। কিন্তু অতিরিক্ত কফি পানে শরীরে যে টক্সিনের সৃষ্টি হয় সেটি যৌন হরমোন হ্রাস করে আপনাকে মলিন করে দেবে।
বোতলজাতকরণ খাদ্য :- বোতলজাতকরণ খাবারের বৈশিষ্ট্য হলো অধিক সোডিয়াম এবং স্বল্পমাত্রায় পটাশিয়ামের উপস্থিতি। এতে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে এধরনের ধমনীগুলোতে রক্ত চলাচলের মাত্রা হ্রাস পায়। যৌন মিলনের সময়ে রক্ত চলাচলের হার স্বাভাবিক থাকা অবশ্যম্ভাবী।